ফরয নামাযঃ হাদিস-২৩
হযরত যায়েদ ইবনে সাবেত রদিয়াল্লহু আ’নহু (زيْد بْن ثابتٍ رضى الله عنْه)
বলেন, (নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ হইতে) আমাদিগকে
হুকুম করা হইয়াছিল যে, আমরা যেন
প্রত্যেক নামাযের পর সুবহা’নাল্লহ তেত্রিশ
বার, আলহা’মদুলিল্লাহ তেত্রিশ বার এবং আল্লহু আকবার
চৌত্রিশ বার পাঠ করি। এক আনসারী সাহাবী রদিয়াল্লহু আ’নহু স্বপ্নে দেখিলেন, কেহ বলিতেছে, তোমদিগকে কি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক নামাযের পর
সুবহা’নাল্লহ তেত্রিশ বার, আলহা’মদুলিল্লাহ
তেত্রিশ বার এবং আল্লহু আকবার চৌত্রিশ বার পড়িতে হুকুম দিয়াছেন? উক্ত সাহাবী বলিলেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বলিল, প্রত্যেকটি পঁচিশ পড়িয়া উহার সহিত লা-ইলাহা
ইল্লাল্লহ পঁচিশ বার বাড়াইয়া লও। সুতরাং সকাল বেলা নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে হাজির হইয়া উক্ত
সাহাবী স্বপ্নের কথা বর্ণনা করিলে তিনি বলিলেন, এই রকমই পড়। অর্থাৎ স্বপ্ন অনুযায়ী পড়িবার অনুমতি দান
করিলেন। (তিরমিযী)
ফরয নামাযঃ হাদিস-২২
হযরত আবু সাঈ’দ খুদরী
রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبى سعيْدٍ الْخدْرىّ رضى الله عنْه)
হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম কে এই এরশাদ করিতে শুনিয়াছেন,
পাঁচ
ওয়াক্ত নামায উহার মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারহ। (অর্থাৎ এক নামায হইতে অপর নামায
পর্যন্ত যত সগীরাহ গুনাহ হয় তাহা নামাযের বরকতে মাফ হইয়া যায়।) অতঃপর রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিলেন, যদি কোন
ব্যক্তির একটি কারখানা থাকে এবং সে উহাতে কাজকর্ম করে। তাহার কারখানা ও বাড়ীর পথে
পাঁচটি নহর পড়ে। সে যখন কারখানায় কাজ করে তখন তাহার শরীরে ময়লা লাগে অথবা ঘাম
বাহির হয়। অতঃপর সে বাড়ী যাইয়ার পথে প্রতিটি নহরে গোসল করিতে করিতে যায়। তাহার (এই
বার বার গোসল করিবার দরুন) শরীরে কোন ময়লা থাকে না। নামাযের উদাহরণও তদ্রুপ। যখনই
সে কোন গুনাহ করে তখন (নামাযের মধ্যে) দুআ’
এস্তেগফার
করার দ্বারা আল্লহ তায়া’লা নামাযের
পূর্বে কৃত তাহার সকল গুনাহ মাফ করিয়া দেন। (বাযযার, তাবারানী,
মাজমাউয
যাওয়ায়েদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৮১-১৮২
ফরয নামাযঃ হাদিস-২১
হযরত আবু উমামাহ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ أمامة رضى الله عنْه)
বর্ণিত আছে যে,রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লামের নিকট জিজ্ঞাসা করা হইল,
কোন
সময়ের দুআ’ বেশী কবুল হয়? তিনি বলিলেন, রাত্রির শেষের অংশে এবং ফরয নামাযের পরে। (তিরমিযী)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৮১
ফরয নামাযঃ হাদিস-২০
হযরত আবু মালেক আশজাঈ’ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ مالكٍ الّأشْجعىّ رضى الله عنْه)
তাঁহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে,
রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লামের যুগে কেহ মুসলমান হইলে (সাহাবাহ রদিয়াল্লহু আ’নহুম) তাহাকে সর্বপ্রথম নামায শিক্ষা দিতেন।
(তাবারানী)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৮১
ফরয নামাযঃ হাদিস-১৯
হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে আ’মর রদিয়াল্লহু আ’নহুমা (عبْد الله بنْ عمْرو رضى الله عنْهما)
হইতে বর্ণিত আছে যে, একদা নবী করীম
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম নামাযের আলোচনা প্রসঙ্গে এরশাদ করিলেন, যে ব্যক্তি নামাযের এহতেমাম করিবে এই নামায তাহার জন্য
কিয়ামাতের দিন নূর হইবে, তাহার (কামেল
ঈমানদার হওয়ার) দলীল হইবে এবং কিয়ামাতের দিন আযাব হইতে বাঁচার উপায় হইবে। যে
ব্যক্তি নামাযের এহতেমাম করে না তাহার জন্য কিয়ামাতের দিন না নূর হইবে, না তাহার (ঈমানদার হওয়ার) কোন দলীল হইবে, আর না আযাব হইতে বাঁচার কোন উপায় হইবে। সে
কিয়ামাতের দিন ফিরআউন, হামান ও উবাহ
ইবনে খলাফের সহিত থাকিবে। (মুসনাদে আহমাদ,
তাবারানী, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৮০
ফরয নামাযঃ হাদিস-১৮
হযরত আবু হুরইরহ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ هريْرة رضى الله عنْه)
হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি এই
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পাবন্দী করে সে আল্লহ তায়া’লার ইবাদাত হইতে গাফেল ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য হয় না। (ইবনে
খুযাইমাহ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৮০
ফরয নামাযঃ হাদিস-১৭
হযরত আবু হুরইরহ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ هريْرة رضى الله عنْه)
হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, পাঁচ ওয়াক্ত
নামায ও জুমুআ’র নামায বিগত
জুমুআ’র নামায পর্যন্ত এবং
রমযানের রোযা বিগত রমাদন পর্যন্ত মধ্যবর্তী সকল গুনাহের জন্য কাফফারা হইবে। যদি এই
আ’মালসমূহ পালনকারী কবীরা
গুনাহ হইতে বাঁচিয়া থাকে । (মুসলিম)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৮০
ফরয নামাযঃ হাদিস-১৬
হযরত সালমান রদিয়াল্লহু আ’নহু (سلْمان رضى الله عنْه)
বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, মুসলমান যখন
উত্তমরূপে ওযু করিয়া পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে তখন তাহার গুনাহসমূহ এমনভাবে
ঝরিয়া পড়ে যেমন এই (গাছের) পাতাগুলি ঝরিয়া পড়িতেছে। অতঃপর তিনি কুরআন পাকের এই
আয়াত তিলাওয়াত করিলেন–
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِّنَ اللَّيْلِ ۚ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ۚ ذَٰلِكَ ذِكْرَىٰ لِلذَّاكِرِينَ
অর্থঃ (হে মুহা’ম্মাদ,) আর আপনি দিনের দুই প্রান্তে ও রাত্রির কিছু
অংশে নামাযের পাবন্দী করুন, নিঃসন্দেহে নেক
কার্যাবলী মন্দ কার্যসমূহকে দূর করিয়া দেয়,
ইহা
হইতেছে (পরিপূর্ণ) নাসীহাত নাসীহাত মান্যকারীদের জন্য। (সূরা হুদঃ ১১৪) (মুসনাদে
আহমাদ)
ফায়দাঃ কোন কোন আ’লেমের মতে দিনের
দুই প্রান্তের দ্বারা দিনের দুই অংশ বুঝানো হইয়াছে। অতএব প্রথম ফযরের নামায ও
দ্বিতীর অংশের দ্বারা যুহর ও আ’সরের নামায
উদ্দেশ্য। রাত্রির কিছু অংশে নামাযের দ্বারা মাগরীব ও ইশার নামায আদায় করা
উদ্দেশ্য। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৯
ফরয নামাযঃ হাদিস-১৫
হযরত জাবের আ’নহু (جابر رضى الله عنْه)
বলেন, এক ব্যক্তি রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লামের নিকট আরজ করিল। অমুক ব্যক্তি (রাত্রে) নামায পরে আবার সকাল হইতেই চুরি
করে। নবী বলিলেন, তাহার নামায
অতিসত্বর তাহাকে এই খারাপ কাজ হইতে রুখিয়া দিবে। (বাযযার, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৮-১৭৯
ফরয নামাযঃ হাদিস-১৪
হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে
ক্বুরত রদিয়াল্লহু আ’নহু (عبْد الله بْن قرْطٍ رضى الله عنْه)
হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, কিয়ামাতের দিন
সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব করা হইবে। যদি নামায ঠিক থাকে তবে বাকি আ’মালও ঠিক হইবে। আর যদি নামায খারাপ হইয়া
থাকে তবে বাকি আ’মালও খারাপও
হইবে। (তাবারানী, তারগীব)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৮
ফরয নামাযঃ হাদিস-১৩
হযরত উ’সমান ইবনে আ’ফফান রদিয়াল্লহু আ’নহু (عثْمان بْن عفّان رضى الله عنْه)
হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি
নামায পড়া জরুরী মনে করিবে সে বেহেশতে প্রবেশ করিবে। (বাযযার, মাজমাউয যাওয়ায়েদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৮
ফরয নামাযঃ হাদিস-১২
হযরত আবু ক্বতাদাহ ইবনে রিবঈ’
রদিয়াল্লহু
আ’নহু (أبىْ قتادة بْن ربْعىٍّ رضى الله عنْه)
বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আল্লহ তায়া’লা বলিতেছেন, আমি তোমার উম্মাতের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করিয়াছি এবং
এই দায়িত্ব গ্রহণ করিয়াছি যে, যে ব্যক্তি এই
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযকে সময়মত আদায় করিবার এহতেমাম করিয়া আমার নিকট আসিবে আমি তাহাকে
বেহেশতে প্রবেশ করাইব। আর যে ব্যক্তি নামাযের এহতেমাম করে নাই তাহার ব্যাপারে আমার
কোন দায়িত্ব নাই। (ইচ্ছা হইলে মাফ করিয়া দিব আর না হয় শাস্তি দিব।) (আবু দাউদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৮
ফরয নামাযঃ হাদিস-১১
হযরত হা’নযলাহ উসাইদী
রদিয়াল্লহু আ’নহু (حنْظلة الْأسيْدىّ رضى الله عنْه)
হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ
ওয়াক্ত নামাযকে এইরূপ পাবন্দীর সহিত আদায় করে যে, ওযু ও সময়ের এহতেমাম করে, রুকু সিজদাহ উত্তমরূপে আদায় করে এবং এইভাবে নামায আদায়
করাকে নিজের উপর আল্লহ তায়া’লার হক মনে করে
তবে জাহান্নামের আগুনের জন্য তাহাকে হারাম করিয়া দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমাদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৭
ফরয নামাযঃ হাদিস-১০
হযরত উ’বাদাহ ইবনে সমেত
রদিয়াল্লহু আ’নহু (عبادة بْن الصّامت رضى الله عنْه)
বলেন, আমি রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম কে এরশাদ করিতে শুনিয়াছি যে,
আল্লহ
তায়া’লা পাঁচ ওয়াক্ত নামায
ফরয করিয়াছেন। যে ব্যক্তি এই নামাযগুলির জন্য উত্তমরূপে ওযু করে, উহাকে মুস্তাহাব ওয়াক্তে আদায় করে, রুকু (সিজদাহ) এতমিনানের সহিত করে এবং
পরিপূর্ণ খুশু’র সহিত পড়ে
আল্লহ তায়া’লার পক্ষ হইতে
তাহার জন্য এই ওয়াদা যে, তাহাকে অবশ্যই
মাফ করিয়া দিবেন। আর যে ব্যক্তি এই নামাযগুলিকে সময় মত আদায় করে না এবং খুশু’র সহিতও পড়ে না তাহার মাগফেরাতের কোন ওয়াদা
নাই। ইচ্ছা হইলে মাফ করিবেন আর না হয় শাস্তি দিবেন। (আবু দাউদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৭
ফরয নামাযঃ হাদিস-৯
হযরত আবু উমামাহ রদিয়াল্লহু আ’নহু (أبىْ أمامة رضى الله عنْه)
হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম খাইবার হইতে ফিরিয়া আসিলেন। তাঁহার সঙ্গে দুইটি গোলাম ছিল। হযরত আ’লী রদিয়াল্লহু আ’নহু (علىٍّ رضى الله عنْه)
আরজ করিলেন, ইয়া রসুলুল্লহ, খেদমতের জন্য আমাদিগকে কোন খাদেম দান করুন।
রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম বলিলেন, দুইজনের মধ্যে
যাহাকে ইচ্ছা হয় লইয়া লও। হযরত আ’লী রদিয়াল্লহু আ’নহু (علىٍّ رضى الله عنْه)
আরজ করিলেন, আপনিই পছন্দ
করিয়া দিন। নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম একজনের প্রতি ইশারা করিয়া বলিলেন,
ইহাকে
লইয়া যাও। তবে ইহাকে মারধর করিও না,
কারণ
খাইবার হইতে ফিরিবার পথে আমি তাহাকে নামায পড়িতে দেখিয়াছি। আর আমাকে নামাযীদের
মারধর করিতে নিষেধ করা হইয়াছে। (মুসনাদে আহমাদ, তাবারানী,
মাজমায়ে
যাওয়ায়েদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৬
ফরয নামাযঃ হাদিস-৮
হযরত আ’লী রদিয়াল্লহু আ’নহু (علىٍّ رضى الله عنْه)
হইতে বর্ণিত আছে যে, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম শেষ অসিয়ত এই করিয়াছেন যে,
নামায, নামায,
আপন
গোলাম ও অধীনস্থদের ব্যাপারে আল্লহ তায়া’লাকে ভয় কর।
(অর্থাৎ তাহাদের হক আদায় কর।) (আবু দাউদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৬
ফরয নামাযঃ হাদিস-৭
হযরত উ’মার রদিয়াল্লহু
আ’নহু (عمر رضى الله عنْه)
বলেন যে, রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যে, নামায দ্বীনের স্তম্ভ। (জামে সগীর)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৫-১৭৬
ফরয নামাযঃ হাদিস-৬
হযরত আনাস রদিয়াল্লহু আ’নহু (أنسٍ رضى الله عنْه)
বর্ণনা করেন, রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আমার চোখের
শীতলতা নামাযে মধ্যে রাখা হইয়াছে। (নাসাঈ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৫
ফরয নামাযঃ হাদিস-৫
হযরত জাবের ইবনে আ’ব্দুল্লহ
রদিয়াল্লহু আ’নহুমা (جابر بْن عبْد الله رضى الله عنْهما) বর্ণিত আছে যে,
রসুলুল্লহ
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম বলিয়াছেন, বেহেশতের চাবি
হইল নামায, আর নামাযে চাবি
হইল অযু। (মুসনাদে আহমাদ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৫
ফরয নামাযঃ হাদিস-৪
হযরত কু’ররহ ইবনে দা’মুস রদিয়াল্লহু আ’নহু (قرّة بْن دعْموْصٍ رضى الله عنْه)
বর্ণনা বলেন, নবী করীম
সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লামের সহিত বিদায় হজ্জে আমাদের সাক্ষাত হয়। আমরা আরজ করিলাম, ইয়া রসুলুল্লহ, আপনি আমাদিগকে কি কি বিষয়ে অসিয়ত করিতেছেন? তিনি এরশাদ
করিলেন, আমি তোমাদিগকে অসিয়ত
করিতেছি যে, নামায কায়েম
করিবে, যাকাত আদায় করিবে, বায়তুল্লার হজ্জ করিবে এবং রমযান মাসে রোযা
রাখিবে। এই মাসে এমন একটি রাত্র রহিয়াছে যাহা হাজার মাস হইতে উত্তম। কোন মুসলমান ও
জিম্মিকে (অর্থাৎ যাহাদের সহিত মুসলামানদের কোন প্রকার চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছে)
কতল করা এবং তাহাদের মাল সম্পদ নিজের জন্য হারাম মনে করিবে। অবশ্য কোন অপরাধ করিলে
তাহাকে আল্লহ তায়া’লার হুকুম
অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হইবে। তোমাদিগকে আরও অসিয়ত করিতেছি যে, তোমরা আল্লহ তায়া’লা ও তাঁহার আনুগত্যকে মজবুত করিয়া ধরিয়া
থাক। (অর্থাৎ গায়রুল্লার রাজি নারাজির পরওয়া না করিয়া হিম্মতের সহিত দ্বীনের কাজে
লাগিয়া থাক।) (বায়হাকী)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৫
ফরয নামাযঃ হাদিস-৩
হযরত আ’ব্দুল্লহ ইবনে উ’মার রদিয়াল্লহু আ’নহুমা (عبْد الله بْن عمر رضى الله عنْهما)
বর্ণনা করেন যে, জিবরাঈল আ’লাইহিস সালাম (একজন অপরিচিত ব্যক্তির বেশে
উপস্থিত হইয়া) রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম সম্পর্কে ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন। তিনি (উত্তরে) বলিলেন, ইসলাম এই যে, তুমি (অন্তর ও মুখ দ্বারা) এই সাক্ষ্য প্রদান কর যে, আল্লহ ব্যতীত আর কোন মা’বুদ নাই এবং মুহা’ম্মাদ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লহ তায়া’লার রসূল, নামায পড়,
যাকাত
আদায় কর, হজ্জ্ব ও ওমরা কর, জানাবাত হইতে পাক হওয়ার জন্য গোসল কর, অযুকে পূর্ণ কর এবং রমযান মাসে রোযা রাখ।
হযরত জিবরাঈল আ’লাইহিস সালাম
জিজ্ঞাসা করিলেন আমি এই সকল আ’মাল করিলে কি
মুসলামান হইয়া যাইব? এরশাদ করিলেন, হ্যাঁ। হযরত জিবরাঈল আ’লাইহিস সালাম বলিলেন, আপনি সত্য বলিয়াছেন। (ইবনে খুযাইমাহ)
মুন্তাখাব হাদিস পৃষ্ঠা ১৭৪
No comments:
Post a Comment